‘আস-সালামু আলাইকুম’ জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগার, কুড়িগ্রাম তথ্য বাতায়নে আপনাকে স্বাগত ও ফুলেল শুভেচ্ছা; জ্ঞানমনস্ক আলোকিত সমাজ বিনির্মাণের লক্ষ্যে কুড়িগ্রাম জেলার জনগোষ্ঠীর নিবিড় প্রত্যাশাপূরণ তথা আলোকবর্তিকাবাহী বইপাঠে সর্বসাধারণকে উৎসাহিত এবং বিজ্ঞানভিত্তিক আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি (আইটি) সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্র কম্পিউটার সিস্টেম, সফ্টওয়্যার, প্রোগ্রামিং ভাষা, ডেটা এবং তথ্য প্রক্রিয়াকরণ স্টোরেজকে অন্তর্ভুক্তকরণ আইটি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) সম্বলিত সুবিধাদির দ্বারা সময়-সাশ্রয়ী কার্যকর তথ্যসেবা প্রদান করা জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগার, কুড়িগ্রাম কার্যালয়ের প্রধান উদ্দেশ্য।

Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

গণগ্রন্থাগার খোলা শনিবার থেকে বুধবার; সময়ঃ সকাল ৯:০০টা থেকে বিকাল ৫:০০ টা পর্যন্ত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি এবং সরকার ঘোষিত অন্যান্য দিন; “বই পড়ার উপকারিতা” *মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা ‍বৃদ্ধি প্রতিদিন বই পড়লে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ে এবং আরও সক্রিয় হয়; *চাপ কমানোর ভালো অভ্যাস মানসিক চাপ কমানোর দারুণ একটি উপায় নিয়মিত বই পড়ার অভ্যাস; *শব্দভাণ্ডার বৃদ্ধি করে; *স্মৃতিশক্তি উন্নত করে; *চিন্তার দক্ষতা বাড়ায়; *লেখার দক্ষতা বৃদ্ধি করে; *বিনোদনের মাধ্যম।


শিরোনাম
খোয়াবনামা
বিস্তারিত

মেলা দিন আগেকার কথা। কাৎলাহার বিলের ধারে ঘন জঙ্গল সাফ করে সোভান ধুমা আবাদ শুরু করে বাঘের ঘাড়ে জোয়াল চাপিয়ে। ওইসব দিনের এক বিকালবেলা মজনু শাহের অগুনতি ফকিরের সঙ্গে কোম্পানির সেপাই সর্দার টেলারের গুলিতে মারা পড়ে মুনসি বয়তুল্লা শাহ। কাৎলাহার বিলের দুই মুনসি । বন্যায় ভেঙে পড়ে। কাৎলাহারের তীর। মুনসির নিষ্কণ্টক অসিয়তে চাষীরা হয়৷ কাৎলাহার বিলের মাবি । খোয়াবনামার শুরু । বিলের মালিকানা চলে যায় জমিদারের হাতে। মুনসির শোলোকে শোলোকে মানুষের স্বপ্নের ব্যাখ্যা করে বেড়ায় চেরাগ আলি ফকির। তমিজের বাপ শোলোক শোনে আর ঘুমের মধ্যে বিলে গিয়ে কাদায় পা ডুবিয়ে দেখতে চায় পাকুড়গাছের মুনসিকে। ভবানী পাঠকের সঙ্গে পূৰ্বপুরুষের জের টেনে বৈকুণ্ঠনাথ গিরি প্রতীক্ষা করে ভবানীর শুভ আবির্ভাবের। তমিজ দেখে জমির স্বপ্ন। আর চেরাগ আলির নাতনি কুলসুম খোয়াবে কার কায়া যে দেখতে চায় তার দিশা পায় না। তেভাগার কবি কেরামত শেষ পর্যন্ত আটকে পড়ে শুধুই নিজের কোটরে; সে নাম চায় বীে চায় ঘর চায়। কোম্পানির ওয়ারিশ ব্রিটিশের ডাণ্ডা উঠে আসে দেশি সায়েবদের হাতে। দেশ আর দেশ থাকে না, হয়ে যায় দুটাে রাষ্ট্র। দেশি সায়েবরা নতুন রাষ্ট্রের আইন বানায়, কেউ হয়। টাউনবাসী, কেউ হয় কন্ট্রাকটর। আবার নিজেদেশে পরবাসী হয় কোটি কোটি মানুষ। হিন্দু জমিদার নায়েব চলে যাওয়ার পরও আজাদ আর পানির পত্তন ফিরে পায় না। পাকুড়গাছ নাই। তমিজের বাপ । 
ভবানী পাঠক আর আসে না। বৈকুণ্ঠ নিহত। ক্ষমতাবান ভদ্রলোকের বাড়িতে চাকর হয়ে বিল-ডাকাতির আসামী তমিজ পুলিসকে এড়ায়। তেভাগার লড়াই। নিরাপদ আশ্রয় ছেড়ে তমিজ বেরিয়ে পড়ে তেভাগার খোঁজে। ফুলজানের গর্ভে তমিজের ঔরসজাত মেয়ে সখিনাকে নিয়ে ফুলজান ঠাঁই নেয় কোথায়! খোয়বনামা সারা। কিন্তু মোষের দিঘিরপাড়ে শুকনা খটখাটে মাঠের মাটিতে দাঁড়িয়ে কাৎলাহার বিলের উত্তর সখিনা পায় জ্বলন্ত হেঁসেলে বলকানো ভাত ।
খোয়াবনামা জিম্মাদার তমিজের বাপের হাত থেকে খোয়াবনামা একদিন বেহাত হয়ে গিয়েছে। এখন সখিনার খোয়াব। খোয়াবনামা স্বপ্নের ব্যাখ্যাত। কিন্তু স্বপ্নের ব্যাখ্যায় যা বিবেচ্য তা স্বপ্ন নয়, স্বপ্নদেখা মানুষ।

ছবি
প্রকাশের তারিখ
04/01/2018
আর্কাইভ তারিখ
31/12/2020