‘আস-সালামু আলাইকুম’ জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগার, কুড়িগ্রাম তথ্য বাতায়নে আপনাকে স্বাগত ও ফুলেল শুভেচ্ছা; জ্ঞানমনস্ক আলোকিত সমাজ বিনির্মাণের লক্ষ্যে কুড়িগ্রাম জেলার জনগোষ্ঠীর নিবিড় প্রত্যাশাপূরণ তথা আলোকবর্তিকাবাহী বইপাঠে সর্বসাধারণকে উৎসাহিত এবং বিজ্ঞানভিত্তিক আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি (আইটি) সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্র কম্পিউটার সিস্টেম, সফ্টওয়্যার, প্রোগ্রামিং ভাষা, ডেটা এবং তথ্য প্রক্রিয়াকরণ স্টোরেজকে অন্তর্ভুক্তকরণ আইটি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) সম্বলিত সুবিধাদির দ্বারা সময়-সাশ্রয়ী কার্যকর তথ্যসেবা প্রদান করা জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগার, কুড়িগ্রাম কার্যালয়ের প্রধান উদ্দেশ্য।

Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

গণগ্রন্থাগার খোলা শনিবার থেকে বুধবার; সময়ঃ সকাল ৯:০০টা থেকে বিকাল ৫:০০ টা পর্যন্ত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি এবং সরকার ঘোষিত অন্যান্য দিন; “বই পড়ার উপকারিতা” *মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা ‍বৃদ্ধি প্রতিদিন বই পড়লে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ে এবং আরও সক্রিয় হয়; *চাপ কমানোর ভালো অভ্যাস মানসিক চাপ কমানোর দারুণ একটি উপায় নিয়মিত বই পড়ার অভ্যাস; *শব্দভাণ্ডার বৃদ্ধি করে; *স্মৃতিশক্তি উন্নত করে; *চিন্তার দক্ষতা বাড়ায়; *লেখার দক্ষতা বৃদ্ধি করে; *বিনোদনের মাধ্যম।


শিরোনাম
মৃত্যুক্ষুধা
বিস্তারিত

মৃত্যুক্ষুধা  কাজী নজরুল ইসলামের কালজয়ী উপন্যাস। ১৯২৭-১৯৩০- এসময়ের মধ্যে উপন্যাসটি রচিত এবং সওগাত পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে মুদ্রিত হয় (অগ্রহায়ণ ১৩৩৪-১৩৩৬ ফাল্গুন)। উপন্যাসের কাহিনী মূলত, চাঁদসড়ক ও কৃষ্ণনগরের পটভূমিতে রচিত। কাহিনী রচিত কিছু মুসলিম ও কিছু খ্রিষ্টান নর-নারী নিয়ে। প্যাকেলে এ গল্পের উল্ল্যেখযোগ্য চরিত্র।একান্নবর্তী অথচ পিতৃহীন সংসারের একমাত্র উপার্জনশীল অভিভাবক সে। বৃদ্ধ মা এবং তিনটি বিধবা ভাই বৌ ও স্বামী পরিত্যাক্ত এক বোন ও তিন ভাইয়ের সন্তান প্রায় ডজন খানেক। তাদের সকলের ভরণ পোষন নিজে (প্যাকেলে) কেই করতে হয়।মেজ ভাই এর বৌ যে, ‘মেজ বৌ’নামে উপন্যাসে পরিচিত তার সাথে প্যাকেলের মা প্যাকেল এর বিয়ে ঠিক করেন। কিন্তু মেজ বৌ সুন্দরী হলেও তাকে সে বিয়ে করতে রাজি নয়। কেন না সে ‘ওমান কাতলি’ মধু ঘরামীর লাবন্যময়ী কুর্শিকে ভালোবাসে।কিন্তু মেজ বৌ প্যাকেল কে ভালবাসে। খ্রিষ্টান মেয়ে কুর্শি।উপন্যাসের দ্বিতীয় ধাপে আছে নায়ক চরিত্র আনসার।বিত্তশালী মুসলিম পরিবারের ছেলে। সে মূলত বিপ্লবী কর্মী। মেহনতী মানুষকে শোষণ বঞ্চনার বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ আন্দোলনে সচেতন এবং সক্রিয় করে গড়ে তুলাই তার লক্ষ। তার জন্য সে বদ্ধপরিকর। কৃষ্ণনগর জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কন্যা রুবি কে সে ভালবাসে। রুবিও তাকে ভালবাসে। কিন্তু রুবির বাবা তা মেনে নিতে চায় না। আনসার কংগ্রেস কর্মী হয়ে একবার জেলে যায়। সে বুঝতে পারে শ্রমিক দের শক্তি উদ্বোধন ছাড়া দেশ কে স্বাধীন করা দুঃসাধ্য। আর তাই সে কৃষ্ণনগরে শ্রমিক সংঘ গড়ে তুলতে চায়।উপন্যাসের মূল উপকরন হচ্ছে দরিদ্র আর ক্ষুধা। আর ক্ষুধার তাড়নায় মৃত্যু। ক্ষুধার তাড়নায় মানুষ যে কি থেকে কি হয় তার চিত্র তুলে ধরেছেন। দরিদ্র এর করাল গ্রাস কিভাবে কৃষ্ণ নগরের মানুষের মাঝে ঢেউ তুলে তার বর্ননাই লেখক করেছেন। এছাড়া ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি , সাম্প্রদায়িকতা সৃষ্টি, দূর্নীতি এগুলোর চিত্র ও এসেছে। ধর্মের নামে যে শোষন ও বঞ্চনা তারও চিত্র আছে। এ উপন্যাসে ক্ষুধা ও মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছে গজালের মা (প্যাকেলের মা)। তিনটি ছেলে অকালে মারা যায়, আর রেখে যায় বৌ-বাচ্চা, মেয়েটি ও শ্বশুর এর বাড়ি থেকে চলে আসে। তারও বাচ্চা আছে। দরিদ্রের চরম রূপ সে দেখেছে। শেষ পর্যন্ত কংকালসার। “মৃত্যুক্ষুধা” গজালের মা’রই ইতিবৃত্ত।

ছবি
প্রকাশের তারিখ
28/11/2017
আর্কাইভ তারিখ
31/12/2018