‘আস-সালামু আলাইকুম’ জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগার, কুড়িগ্রাম তথ্য বাতায়নে আপনাকে স্বাগত ও ফুলেল শুভেচ্ছা; জ্ঞানমনস্ক আলোকিত সমাজ বিনির্মাণের লক্ষ্যে কুড়িগ্রাম জেলার জনগোষ্ঠীর নিবিড় প্রত্যাশাপূরণ তথা আলোকবর্তিকাবাহী বইপাঠে সর্বসাধারণকে উৎসাহিত এবং বিজ্ঞানভিত্তিক আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি (আইটি) সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্র কম্পিউটার সিস্টেম, সফ্টওয়্যার, প্রোগ্রামিং ভাষা, ডেটা এবং তথ্য প্রক্রিয়াকরণ স্টোরেজকে অন্তর্ভুক্তকরণ আইটি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) সম্বলিত সুবিধাদির দ্বারা সময়-সাশ্রয়ী কার্যকর তথ্যসেবা প্রদান করা জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগার, কুড়িগ্রাম কার্যালয়ের প্রধান উদ্দেশ্য।

Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

গণগ্রন্থাগার খোলা শনিবার থেকে বুধবার; সময়ঃ সকাল ৯:০০টা থেকে বিকাল ৫:০০ টা পর্যন্ত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি এবং সরকার ঘোষিত অন্যান্য দিন; “বই পড়ার উপকারিতা” *মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা ‍বৃদ্ধি প্রতিদিন বই পড়লে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ে এবং আরও সক্রিয় হয়; *চাপ কমানোর ভালো অভ্যাস মানসিক চাপ কমানোর দারুণ একটি উপায় নিয়মিত বই পড়ার অভ্যাস; *শব্দভাণ্ডার বৃদ্ধি করে; *স্মৃতিশক্তি উন্নত করে; *চিন্তার দক্ষতা বাড়ায়; *লেখার দক্ষতা বৃদ্ধি করে; *বিনোদনের মাধ্যম।


শিরোনাম
নক্সী কাঁথার মাঠ
বিস্তারিত

নক্সী কাঁথার মাঠ  একটি কালজয়ী কাব্যগ্রন্থ। রচয়িতা কবি  জসীমউদ্দীন (১৯০৩-১৯৭৬ ) রচনাকাল ১৯২৯। নক্সী কাঁথার মাঠ একটি  শিল্পসফল কাহিনি কাব্য। কাব্যটি চোদ্দটি সর্গ বা ছোট ছোট দৃশ্যপটে বর্ণিত। কাব্যিকভাবে সবকটি দৃশ্য মিলে এতে একটি সামগ্রিক জীবনচিত্র ফুটে উঠেছে অসাধারণ শৈল্পিকতার সঙ্গে।

নাটকীয় দৃশ্য পরম্পরায় সজ্জিত এ কাব্যের কাহিনীচিত্র পল্লিকিশোর রূপা ও পল্লিকিশোরী সাজুর প্রেমের পটভূমি, বিকাশ  ও এর করুণ পরিণতিকে আশ্রয় করে দৈনন্দিন কর্মধারা, প্রতিদিনকার ঘরকন্নার অতি বাস্তব ছবি, গ্রামীণ উৎসব-অনুষ্ঠানের নিপুণ বর্ণনা, গ্রাম্য-কলহ, জমিজমা-সংক্রান্ত দাঙ্গাহাঙ্গামা, মামলা-মোকদ্দমা প্রভৃতি বিষয়ে পল্লবিত। এর প্রতিটি দৃশ্য স্বয়ংসম্পূর্ণ, বাস্তবধর্মী ও কবিত্বময়। রূপা ও সাজুর এ কাহিনিকে কবি ‘করুণ গাথা’ বলে আখ্যায়িত করেছেন কারণ মৃত্যুর মধ্যে দিয়ে দুটি প্রাণ প্রেমের জন্যে প্রায়শ্চিত্ত করেছে। আর নক্সী কাঁথার ফোঁড়ে ফোঁড়ে সে বেদনার কাহিনি বিধৃত হয়েছে।

“বহুদিন পরে গাঁয়ের লোকেরা গভীর রাতের কালে,

শুনিল কে যেন বাজাইছে বাঁশি বেদনার তালে তালে।

প্রভাতে সকলে আসিয়া দেখিল সেই কবরের গায়

রোগ পান্ডুর একটি বিদেশী মরিয়া রয়েছে হায়।

সারা গায়ে তার জরায়ে রয়েছে সেই নক্সী কাঁথা,

আজও গাঁর লোকে বাঁশী বাজাইয়া গায় এ করুণ গাথা।”

ছবি
প্রকাশের তারিখ
06/01/2018
আর্কাইভ তারিখ
06/01/2019